গুনগত রসায়ন-৫ রসায়ন ১ম পত্র
উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন ১ম পত্র
অধ্যায়-২(গুনগত রসায়ন)
লেকচার-৫
বিষয় :
শিখা পরীক্ষা, দ্রবন, সম্পৃক্ত দ্রবন, অসম্পৃক্ত দ্রবন, অতিপৃক্ত দ্রবন, দ্রাব্যতা, দ্রাব্যতার উপর তাপমাত্রার প্রভাব, দ্রাব্যতা গুনফল, আয়নিক গুনফল, অধ:ক্ষেপনের শর্ত
১. শিখা পরীক্ষা কী ?
কতিপয় অজৈব লবন বুনসেন দীপ শিখার সংস্পর্শে বৈশিষ্টপূর্ন বর্ন সৃষ্টি করে, যা থেকে অজৈব লবনে উপস্থিত ক্ষারীয় মূলককে শনাক্ত করা যায়। এ পরীক্ষাকে শিখা পরীক্ষা বলে। যেমন,
২. শিখা পরীক্ষায় গাঢ় HCl ব্যবহারের কারন :
ক্লোরাইড লবন অন্যান্য লবন অপেক্ষা অধিক উদ্বায়ী প্রকৃতির । তাই কোন লবনকে ক্লোরাইড লবনে পরিনত করার জন্য শিখা পরীক্ষায় গাঢ় HCl ব্যবহৃত হয়।
৩. দ্রবন কী ? সস্পৃক্ত, অসম্পৃক্ত ও অতিপৃক্ত দ্রবন কাকে বলে।
দ্রবন : দুই বা ততোধিক পদার্থের সমসত্ব মিশ্রনকে দ্রবন বলে।
সম্পৃক্ত দ্রবন : যে দ্রবনে আর অধিক দ্রব দ্রবীভূত হয় না এবং দ্রবনটির ঘনমাত্রা দীর্ঘ সময় অপরিবর্তিত থাকে তাকে সম্পৃক্ত দ্রবন বলে।
অসম্পৃক্ত দ্রবন : যে দ্রবনটি আরও অধিক দ্রব দ্রবীভ‚ত করার ক্ষমতা রাখে তাকে অসম্পৃক্ত দ্রবন বলে।
অতিপৃক্ত দ্রবন : একটি সম্পৃক্ত দ্রবন যে পরিমান দ্রব দ্রবীভ‚ত করার ক্ষমতা রাখে, যদি কোন বিশেষ কারনে ঐ দ্রবনে তার চেয়ে অধিক দ্রব দ্রবীভ‚ত হয়ে যায়, তাহলে তাকে অতিপৃক্ত দ্রবন বলে।
৪. দ্রাব্যতা (Solubility) :
কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 100 গ্রাম দ্রাবককে সম্পৃক্ত দ্রবনে পরিনত করতে যত গ্রাম দ্রবের প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ তাপমাত্রায় ঐ দ্রবের দ্রাব্যতা বলে। যদি t তা. m গ্রাম দ্রব কোন নির্দিষ্ট পরিমান দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়ে M গ্রাম সম্পৃক্ত দ্রবন উৎপন্ন করে, তবে দ্রাবকের পরিমান = (M – m)g
৫. দ্রাব্যতার উপর তাপমাত্রার প্রভাব ব্যাখ্যা কর ।
দ্রাব্যতার উপর তাপমাত্রার প্রভাব : দ্রাব্যতার উপর তাপমাত্রার বিশেষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। সাধারনভাবে তপিমাত্রা বৃদ্ধিতে দ্রবের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায়। কারন উচ্চ তাপমাত্রায় দ্রাবক ও দ্রব উভয়ের গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, ফলে অধিক দ্রব দ্রবীভূত হয়। কিন্তু কিছু দ্রবের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে দ্রাব্যতা হ্রাস পায়। যেমন, NaOH. আবার, কিছু দ্রবের ক্ষেত্রে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে প্রথমে দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায় কিন্তু তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেলে দ্রাব্যতা হ্রাস পায়।
৬. দ্রাব্যতা গুনফল (Solubility product) :
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন অল্প দ্রবনীয় লবনের (মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য) সম্পৃক্ত দ্রবনে উহার উপাদান আয়নগুলোর প্রতিটির মোলার ঘনমাত্রার গুনফলকে দ্রাব্যতা গুনফল বলে।
৭. মোলার দ্রবন কী ?
মোলার দ্রবন : কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এক লিটার দ্রবনে কোন পদার্থের এক মোল দ্রবীভূত থাকলে তাকে ঐ পদার্থের মোলার দ্রবন বলে। যেমন, 106 g সোডিয়াম কার্বনেট কে পানিতে দ্রবীভূত করে এক লিটার দ্রবন প্রস্তুত করা হলে উহাকে সোডিয়াম কার্বনেট এর মোলার দ্রবন বলে।
মোলার ঘনমাত্রা = মোল/লিটার
৮. আয়নিক গুনফল কী?
আয়নিক গুনফল : কোন তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রবনে উপস্থিত প্রতিটি আয়নের মোলার ঘনমাত্রার গুনফলকে ঐ পদার্থের আয়নিক গুনফল বলে।
৯. অধ:ক্ষেপনের শর্ত :
আয়নিক গুনফল এবং দ্রাব্যতা গুনফলের তুলনামূলক মানের উপর অধ:ক্ষেপন প্রক্রিয়া বা দ্রবনীয়তা পরিচালিত হয়।
১০. সমআয়ন প্রভাব (Common ion effect) :
একই দ্রবনে দুই বা ততোধিক তড়িৎ বিশ্লেষ্য বিয়োজিত হয়ে একটি সাধারন আয়ন উৎপন্ন করলে ঐ সাধারন আয়নটিকে সম আয়ন বলে। যেমন NH4Cl ও HCl এর মিশ্রিত দ্রবনে ক্লোরাইড আয়ন হলো সমআয়ন।
সমআয়নযুক্ত তড়িৎ বিশ্লেষ্য সমূহের পরস্পরের উপস্থিতিতে তাদের বিশেষ করে দুর্বল তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বিয়োজনের বিশেষ হ্রাসকে সমআয়ন প্রভাব বলে।
যেমন, একটি সবল তড়িৎ বিশ্লেষ্য (HCl) এবং একটি দুর্বল তড়িৎ বিশ্লেষ্য (NH4Cl) এর মিশ্রিত দ্রবনে সমআয়ন হলো ক্লোরাইড আয়ন এবং এর প্রভাবে দ্রবনে NH4Cl
এর বিয়োজন হ্রাস পায়।
১১. কক্ষ তাপমাত্রায় BaSO4 এর দ্রাব্যতা গুণফল 1.1X10^(-10) বলতে কি বুঝ?
*** দ্রব্যতা গুনফল ও আয়নিক গুনলের গানিতিক সমস্যা :
